ঔষধ আইন/Acts, বিধি/Rules ও প্রবিধি/Regulations

বিপজ্জনক ওষুধ আইন (The Dangerous Drug Act), ১৯৩০, ১৯৫১

বিপজ্জনক ওষুধ আইন, ১৯৩০ এবং ১৯৫১ বিপজ্জনক ওষুধ বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

ওষুধ আইন (The Drugs Act), ১৯৪০, ১৯৭৪

ওষুধ আইন, ১৯৪০ দেশের ওষুধ আমদানি, রপ্তানী, উৎপাদন, বণ্টন ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের ওষুধ আইন হিসেবে গৃহীত হয়।

দ্যা বেঙ্গল ড্রাগ রুলস (The Bengal Drugs Rules), ১৯৪৬

দ্যা বেঙ্গল ড্রাগ রুলস, ১৯৪৬ ওষুধ বিক্রয় ও উৎপাদনের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত সরকারি অ্যানালিস্ট ও ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্ণনা করে। এই আইনের পার্ট - ৩ এ ওষুধ বিক্রয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। দ্যা বেঙ্গল ড্রাগ রুলসে লাইসেন্স করার প্রক্রিয়া, লাইসেন্স করার শর্ত, নবায়ণ করার প্রক্রিয়া, বৈধ লাইসেন্সের সময়সীমা ইত্যাদি বলা হয়েছে।

বিষ আইন (The Poison Act), ১৯১৯, ১৯৫২

বিষ আইন, ১৯৫২ দেশে বিষ (Poison) জাতীয় পণ্য / দ্রব্যাদি আমদানি, মজুদ ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করে। যে সকল দ্রব্যাদি সামান্য পরিমাণে হলেও খাওয়ার পর মৃত্যু ঘটে বা প্রাণীকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত করে এবং যে সকল দ্রব্যাদিকে নির্দিষ্টভাবে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষ (Poison) বলা হয়েছে সেই সকল দ্রব্যাদি আমদানি, মজুদ ও বিক্রয় এই আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। 

বিশেষ ক্ষমতা আইন (The Special Power Act), ১৯৭৪

বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ - এ খাদ্য, পানীয় ও ওষুধে ভেজাল দেয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ভেজাল খাদ্য, পানীয় ও ওষুধ বিক্রির শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে।

ফার্মেসী অধ্যাদেশ/বিশেষ আইন (The Pharmacy Ordinance/Special Act), ১৯৭৬, ২০১৩

ফার্মেসী অধ্যাদেশ / বিশেষ আইন, ১৯৭৬, ২০১৩ হচ্ছে বাংলাদেশে ফার্মেসী প্র্যাকটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ফার্মেসী কাউন্সিল গঠন করা। ফার্মেসী কাউন্সিল নিম্নোক্ত সদস্যদের নিয়ে গঠিতঃ

১. সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। পদাধীকার বলে তিনি এই কাউন্সিলের সভাপতি;

২. মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর;

৩. মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর;

৪. চেয়ারম্যান, ফার্মেসী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়;

৫. সরকার কর্তৃক মনোনীত চারজন সদস্য যাদের একজন মেডিসিনের প্রফেসর এবং একজন বাংলাদেশ মেডিকেল ইনস্টিটিউশনের ফার্মাকোলোজি বিভাগের প্রফেসর [এবং দুইজন যোগ্যতা সম্পন্ন ফার্মাসিস্ট];

৬. বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি কর্তৃক মনোনীত একজন যোগ্যতা সম্পন্ন ফার্মাসিস্ট;

৭. বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য;

৮. বাংলাদেশ কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতি (BCDS) কর্তৃক মনোনীত একজন যোগ্যতা সম্পন্ন ফার্মাসিস্ট;

৯. বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি কর্তৃক মনোনীত তিনজন সদস্য।

প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার এই কাউন্সিলের সদস্যসংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারে।

Next Post Previous Post